নবী ﷺ যেভাবে হজ করেছেন

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> নবী ﷺ যেভাবে হজ করেছেন  – পর্ব ৫<br /> (জাবের রা. যেমন বর্ণনা করেছেন)<br /> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjxwDE9MefZffDOKsglZ80jLBsJgwRzj7D8fnSvmBr1O6lwcRUXLCT6HHhCagNxh0DP8BsMSf1f_vk5c5d56jL2SqJG5zkOzobtoRFk06bxPhIxlK-xNp4v2H6_AnpRJI_zlJkQ2dwxIzLH/s1600/file.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="208" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjxwDE9MefZffDOKsglZ80jLBsJgwRzj7D8fnSvmBr1O6lwcRUXLCT6HHhCagNxh0DP8BsMSf1f_vk5c5d56jL2SqJG5zkOzobtoRFk06bxPhIxlK-xNp4v2H6_AnpRJI_zlJkQ2dwxIzLH/s320/file.jpeg" width="320" /></a></div> <br /> <br /> <br /> সংকলনঃ শাইখ মুহাম্মাদ নাসেরুদ্দীন আল-আলবানী (রহ) | অনুবাদঃ   মুফতী নুমান আবুল বাশার, ড. এটিএম ফখরুদ্দীন<br /> <br /> পর্ব ১ ।  পর্ব ২  । পর্ব ৩ ।  পর্ব ৪<br /> <br /> ১০ যিলহজের আমলে ধারাবাহিকতা রক্ষা না হলে কোন অসুবিধা নেই<br /> জাবের রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ পশু যবেহ করলেন, ‘অতপর মাথা মুন্ডন করলেন।’১২২ ‘কুরবানীর দিন মিনায়’১২৩  মানুষের (প্রশ্নোত্তরের) জন্য বসলেন। ‘সে দিনের’১২৪ আমলগুলোতে ‘আগে পরে হয়েছে’১২৫ এমন বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,<br /> <br /> لاََ حَرَجَ لاَ حَرَجَ<br /> ‘কোন সমস্যা নেই, কোন সমস্যা নেই’১২৬।<br /> <br /> এক ব্যক্তি এসে বলল, আমি যবেহ করার পূর্বে মাথা মুন্ডন করে ফেলেছি। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন,<br /> <br /> وَلاَ حَرَج<br /> কোনো সমস্যা নেই।<br /> <br /> অন্য একজন এসে বলল, ‘আমি কঙ্কর নিক্ষেপের পূর্বে মাথা মুন্ডন করে ফেলেছি, তিনি বললেন,<br /> <br /> وَلاَ حَرَج<br /> কোনো সমস্যা নেই।<br /> <br /> তারপর ‘আরেক জন এসে বলল, আমি কঙ্কর নিক্ষেপের পূর্বে তাওয়াফ করেছি, তিনি বললেন,<br /> <br /> وَلاَ حَرَج<br /> কোনো সমস্যা নেই।১২৭<br /> <br /> অন্য এক ব্যক্তি এসে বলল, আমি পশু যবেহের আগে তাওয়াফ করেছি। তিনি বললেন,<br /> <br />  ِاذْبَحْ وَلاَ حَرَج<br /> যবেহ কর, কোনো সমস্যা নেই।১২৮<br /> <br /> তারপর অন্য আরেক ব্যক্তি এসে বলল, ‘আমি কঙ্কর নিক্ষেপের পূর্বে কুরবানী করে ফেলেছি। তিনি বললেন,<br /> <br /> ارْمِ ، وَلاَ حَرَجَ<br /> নিক্ষেপ কর। কোন সমস্যা নেই।১২৯’<br /> <br /> ‘অতপর আল্লাহর নবী ﷺ বললেন,<br /> <br /> قَدْ نَحَرْتُ هَهُنَا وَمِنًى كُلُّهَا مَنْحَرٌ<br /> আমি এখানে যবেহ করলাম, আরা মিনা পুরোটাই যবেহের স্থান।’১৩০<br /> <br /> মক্কার প্রতিটি অলিগলি চলার পথ এবং যবেহের স্থান।’১৩১ অতএব, তোমরা তোমাদের অবস্থানস্থলে থেকে পশু যবেহ কর।১৩২<br /> <br /> ইয়াউমুন-নহর তথা ১০ তারিখের ভাষণ<br /> জাবের রা. বলেন, ‘কুরবানীর দিন আমাদের উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ ﷺ ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন,<br /> <br /> •    أَيُّ يَوْمٍ أَعْظَمُ حُرْمَةً ؟ فَقَالُوْا : يَوْمُنَا هَذَا<br /> ‘সম্মানের দিক থেকে কোন্ দিনটি সবচে’ বড় ? তাঁরা বললেন, আমাদের এই দিনটি।<br /> <br /> •    قَالَ : أَيُّ شَهْرٍ أَعْظَمُ حُرْمَةً ؟ فَقَالُوْا : شَهْرُنَا هَذَا<br /> ‘তিনি বললেন, কোন্ মাসটি সম্মানের দিক থেকে সবচে’ বড় ? তাঁরা বললেন, আমাদের এই মাসটি।<br /> <br /> •    قَالَ : أَيُّ بَلَدٍ أَعْظَمُ حُرْمَةً ؟ فَقَالُوْا : بَلَدُنَا هَذَا<br /> ‘তিনি বললেন, কোন্ শহরটি সম্মানের দিক থেকে সবচে’ বড় ? তাঁরা বললেন, আমাদের এই শহরটি।’<br /> <br /> •    قَالَ : فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَاٌم كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا فِيْ شَهْرِكُمْ هَذَا<br /> ‘তিনি বললেন, নিশ্চয় তোমাদের রক্ত ও তোমাদের সম্পদ আজকের এই দিন, এই শহর, এই মাসের ন্যায় সম্মানিত।’<br /> <br /> •    هَلْ بَلَّغْتُ ؟ قَالُوْا : نَعَمْ . قَالَ : اَللَّهُمَّ اشْهَدْ .<br /> ‘আমি কি পৌঁছে দিয়েছি? তাঁরা বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, হে আল্লাহ,  আপনি সাক্ষী থাকুন।’১৩৩<br /> <br /> তাওয়াফে ইফাযা তথা বায়তুল্লাহ্‌র ফরয তাওয়াফ আদায়<br /> ‘অতপর রাসূলুল্লাহ ﷺ বাহনে সওয়ার হয়ে বাইতুল্লাহ গেলেন এবং (বায়তুল্লাহ্র ফরয) তাওয়াফ করলেন। সাহাবীগণও তাওয়াফ করলেন।’‘রাসূলের সাথে যারা কিরান হজ করেছিলেন তাঁরা সাফা ও মারওয়ায় সা‘ঈ করেননি।’১৩৪ অতপর তিনি মক্কায় যোহরের সালাত আদায় করলেন। তারপর আবদুল মুত্তালিব বংশের কাছে এলেন, ‘তারা’১৩৫  যমযমের পানি পান করাচ্ছিল। তিনি বললেন,<br /> <br /> انْزِعُوا بَنِى عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَلَوْلاَ أَنْ يَغْلِبَكُمُ النَّاسُ عَلَى سِقَايَتِكُمْ لَنَزَعْتُ مَعَكُمْ<br /> ‘হে আবদুল মুত্তালিবের বংশধর! বালতি ভর্তি করে পানি তুলে তা (হাজীদেরকে) পান করাও। তোমাদের কাছ থেকে পানি পান করানোর দায়িত্ব কেড়ে নেয়ার ভয় না থাকলে আমিও নিজ হাতে তোমাদের সাথে বালতি ভরে পানি তুলে তা পান করাতাম।’১৩৬  <br /> <br /> অতপর তারা তাঁকে বালতি ভরে পানি দিলেন, আর তিনি তা পান করলেন।<br /> <br /> হজের পর আয়েশা রা. এর উমরা পালন<br /> জাবের রা. বলেন, ‘আয়েশা রা. ঋতুবতী হলেন। তখন বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ছাড়া তিনি হজের আর সব আমল সম্পন্ন করলেন।১৩৭ তিনি বলেন, ‘যখন তিনি পবিত্র হলেন, তখন কা‘বার তাওয়াফ করলেন এবং সাফা-মারওয়ায় সা‘ঈ করলেন।’অতপর রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন,<br /> <br /> قَدْ حَلَلْتِ مِنْ حَجِّكِ وَعُمْرَتِكِ جَمِيعًا<br /> ‘তুমি তোমার হজ ও উমরা উভয়টি থেকে হালাল হয়ে গিয়েছ।’১৩৮<br /> <br /> আয়েশা রা. বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, ‘আপনারা সবাই হজ ও উমরা করে যাবেন আর আমি কি শুধু হজ করে যাব?’১৩৯  তিনি বললেন,<br /> <br /> إِنَّ لَكِ مِثْلَ مَا لَهُمْ<br /> ‘তোমারও তাদের মতই হজ ও উমরা হয়ে গিয়েছে।’১৪০<br /> <br /> আয়েশা রা. বললেন, ‘আমি মনে কষ্ট পাচ্ছি, কেননা, আমি তো শুধু হজের পরে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করেছি।’১৪১<br /> <br /> জাবের রা. বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ ﷺ নরম স্বভাবের লোক ছিলেন। যখন আয়েশা. কিছু কামনা করতেন, তিনি সেদিকে লক্ষ্য রাখতেন।১৪২ রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন,<br /> <br /> فَاذْهَبْ بِهَا يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ فَأَعْمِرْهَا مِنَ التَّنْعِيمِ<br /> ‘হে আবদুর রহমান! তুমি তাকে নিয়ে যাও এবং তাকে তানঈম থেকে উমরা করাও।’১৪৩ <br /> <br /> অতপর, ‘আয়েশা রা. হজের পরে উমরা করলেন।’১৪৪  ‘তারপর ফিরে এলেন।’১৪৫  ‘আর এটা ছিল হাসবার রাতে১৪৬ ।’১৪৭<br /> <br /> জাবের রা. বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ ﷺ বিদায় হজে নিজের বাহনে আরোহন করে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করলেন এবং নিজের বাঁকা লাঠি দিয়ে হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করলেন, যাতে লোকজন তাঁকে দেখতে পায় এবং তিনি ওপরে থেকে তাদের তত্ত্বাবধান করতে পারেন। আর যাতে তারা তাঁর কাছে জিজ্ঞেস করতে পারে। কেননা লোকজন তাঁকে ঘিরে রেখেছিল।’১৪৮<br /> <br /> জাবের রা. বলেন, ‘এক মহিলা তার একটি বাচ্চা তাঁর সামনে উঁচু করে ধরে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, এর কি হজ হবে? তিনি বললেন,<br /> <br /> نَعَمْ وَلَكِ أَجْرٌ<br /> ‘হ্যাঁ, আর তোমার জন্য রয়েছে পুরস্কার।’১৪৯<br /> <br /> সমাপ্ত<br /> <br /> ……………………………………………………………………………………………..<br /> <br /> Source: IslamHouse.Com<br /> <br /> ……………………………………………………………………………………………..<br /> <br /> ১২২। মুসনাদে আহমদ।<br /> <br /> ১২৩। ইবন মাজা<br /> <br /> ১২৪। ইবন মাজা<br /> <br /> ১২৫। ইবন মাজা<br /> <br /> ১২৬। অর্থাৎ তোমার যে আমলগুলো বাকি আছে তা আদায় করে নাও। আর যেগুলো করেছো- তাতে যা আগে-পিছে হয়েছে তাতে কোনো অসুবিধে নেই।<br /> <br /> ১২৭। দারেমী, ইবন মাজা।<br /> <br /> ১২৮। তাহাবী।<br /> <br /> ১২৯। মুসনাদে আহমদ।<br /> <br /> ১৩০। মুসনাদে আহমদ।<br /> <br /> ১৩১। আবূ দাউদ।<br /> <br /> ১৩২। মুসলিম।<br /> <br /> ১৩৩। মুসনাদে আহমদ।<br /> <br /> ১৩৪। আবূ দাউদ, তাহাবী।<br /> <br /> ১৩৫। দারমী।<br /> <br /> ১৩৬। অর্থাৎ<br /> <br /> ১৩৭। বুখারী, মুসনাদে আহমদ।<br /> <br /> ১৩৮। মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাঈ।<br /> <br /> ১৩৯। বুখারী, মুসনাদে আহমদ। অন্য হাদীসে রয়েছে, লোকেরা দুই ইবাদাতের নেকী নিয়ে ফিরবে আর আমি কি এক কাজের নেকী নিয়ে ফিরবো?<br /> <br /> ১৪০। মুসনাদে আহমদ।<br /> <br /> ১৪১। মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাঈ, মুসনাদে আহমদ।<br /> <br /> ১৪২। মুসলিম।<br /> <br /> ১৪৩। ইবন আববাস রা. বলেন ‘আল্লাহর শপথ! মুশরিকদের প্রথা বাতিল করার জন্য রাসূলুল্লাহ ﷺ আয়েশা রা. কে যিলহজ মাসে উমরা করিয়েছেন। কুরাইশ গোত্র ও তাদের অনুসারীরা বলতো, ‘যখন উটের লোম গজিয়ে বেশি হবে, পৃষ্ঠদেশ সুস্থ হবে এবং সফর মাস প্রবেশ করবে তখনই উমরাকারির  উমরা সহীহ হবে’। তারা যিলহজ ও মুহররম শেষ হওয়ার পূর্বে উমরা হারাম মনে করত’ (আবূ দাউদ : ১৯৮৭)।<br /> <br /> ১৪৪। বুখারী, মুসনাদে আহমদ।<br /> <br /> ১৪৫। মুসনাদে আহমদ।<br /> <br /> ১৪৬। সেটি হচ্ছে আইয়ামে তাশরীকের পরের রাত্রি। অর্থাৎ ১৪ তারিখের রাত। এটাকে মুহাস্সাবের রাতও বলা হয়। রাসূলুল্লাহ ﷺ ও সাহাবীগণ ১৪ তারিখের রাত এ স্থানে যাপন করেছিলেন। যেসব জায়গায় পূর্বে শিরক বা কুফরী কর্ম অথবা আল্লাহর শত্রুতা প্রকাশ করা হত সেসব জায়গায় রাসূলুল্লাহ ﷺ ইচ্ছাকৃতভাবে ইসলামের নিদর্শনসমূহ প্রকাশ করেছেন। এই মর্মে তিনি মিনায় বলেন, ‘আমরা আগামীকাল বনূ কিনানার খায়ফে (অর্থাৎ মুহাস্সাব তথা হাসবা নামক স্থানে) যেতে চাচ্ছি, যেখানে তারা কুফরীকর্মের ওপর অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছিল, আর তা ছিল এই যে, কুরাইশ ও বনূ কিনানা, বনূ হাশিম ও বনূ আবদুল মুত্তালিবের বিরুদ্ধে এই মর্মে শপথ করেছিল যে, তাদের সাথে তারা বৈবাহিক সম্পর্ক কায়েম করবে না, বেচাকেনা করবে না, যতক্ষণ না তারা নবীকে তাদের কাছে সোপর্দ করে (বুখারী : ১৫৯০)। ইবনুল কায়্যিম রহ. বলেন, ‘এটাই ছিল রাসূলুল্লাহ ﷺ এর অভ্যাস যে, তিনি কুফরের নিদর্শনের স্থানসমূহে তাওহীদের নিদর্শন প্রকাশ করতেন (যাদুল মা‘আদ)।<br /> <br /> ১৪৭। মুসলিম।<br /> <br /> ১৪৮। মুসলিম, আবূ দাউদ, মুসনাদে আহমদ।<br /> <br /> ১৪৯। তিরমিযী, ইবন মাজা। বাচ্চাটিকে বহন করা এবং তাকে মুহরিমরা যেসব কাজ থেকে বিরত থাকে সেসব কাজ থেকে বিরত রাখার বিনিময়ে এই নেকী (নাববী রহ.)।</div>

নবী ﷺ যেভাবে হজ করেছেন

নবী ﷺ যেভাবে হজ করেছেন  – পর্ব ৫ (জাবের রা. যেমন বর্ণনা করেছেন) সংকলনঃ শাইখ মুহাম্মাদ নাসেরুদ্দীন আল-আলবানী (রহ) | অনুবাদঃ   মুফতী ...

আরও পড়ুন »

সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-<br /> <br /> অনুবাদক : ইকবাল হোছাইন মাছুম<br /> <br /> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEickmhVv_qJ9ELqGnGDBeMGBV5lnaOjfbX_T3hCIRuQiuKml1KZum1RD030q01vFKQD1goZ_Yk2pwlQzUsncOKqXxm6GveGvjdvuxrU3TBzRATuAa1fHolJsWsQVuQl2Y9caajA1-KgAJcN/s1600/AlQuranFlashTajwid.png" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEickmhVv_qJ9ELqGnGDBeMGBV5lnaOjfbX_T3hCIRuQiuKml1KZum1RD030q01vFKQD1goZ_Yk2pwlQzUsncOKqXxm6GveGvjdvuxrU3TBzRATuAa1fHolJsWsQVuQl2Y9caajA1-KgAJcN/s320/AlQuranFlashTajwid.png" width="225" /></a></div> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধ<br /> <br /> المعروف এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে : المعلوم বা জ্ঞাত ও জানা বস্তু বা বিষয়। عرف يعرف معرفة وعرفانا এর অর্থ জানা। المنكر- المعروف (অজ্ঞাত ও অপরিচিত) এর বিপরীত।<br /> <br /> المعروف শব্দটি المعرفة (জানা) এবং الاستحسان (কল্যাণকরন) উভয়কে শামিল করে।<br /> <br /> শরিয়তের পরিভাষায় মারুফ বলা হয় :—<br /> <br /> اسم جامع لكل ما عرف من طاعة الله والتقرب إليه بفعل الواجبات والمندوبات.<br /> <br /> অর্থাৎ, যে সকল ফরজ ও নফল কাজের মাধ্যমে আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশ পায় এবং নৈকট্য সাধিত হয় তাকে মারূফ বলে।<br /> আর মুনকার হচ্ছে মারূফের বিপরীত<br /> <br /> وهو كل ما قبحه الشرع وحرمه وكرهه.<br /> <br /> এমন কথা ও কাজ যাকে শরিয়ত হারাম, অপছন্দ ও ঘৃণা করে হারাম সাব্যস্ত করেছে। উপরোক্ত সংজ্ঞা দ্বয়কে সামনে রাখলে আমরা দেখতে পাব যে শরিয়তের মৌলিক ও আনুষঙ্গিক সব বিষয় যেমন আক্বিদা-বিশ্বাস, ইবাদত, আখলাক-সুলুক ও মুআমালাত-ফরয হোক বা হারাম, মোস্তাহাব কিংবা মাকরূহ-সবই উভয়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। এগুলোর মধ্যে যা ভাল ও কল্যাণকর তা মারূফের অন্তর্ভুক্ত আর যা খারাপ ও অকল্যাণকর মুনকারের অন্তর্ভুক্ত।<br /> <br /> আমার বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকার ওয়াজিব। এ মর্মে অনেক আয়াত ও অসংখ্য হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তা ছাড়া এ ব্যাপারে উম্মতের ইজমাও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে এটি ওয়াজিবে কেফায়া। উম্মতের যথেষ্ট পরিমাণ অংশ এ দায়িত্ব পালন করলে অন্যদের থেকে গুনাহ রহিত হয়ে যাবে। আল্লাহ তাআলা বলেন:-<br /> <br /> وَلْتَكُنْ مِنْكُمْ أُمَّةٌ يَدْعُونَ إِلَى الْخَيْرِ وَيَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ (آل عمران:104)<br /> <br /> আর তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকা উচিত, যারা সৎকাজের প্রতি আহ্বান করবে, নির্দেশ করবে ভাল কাজের এবং বারণ করবে অন্যায় কাজ থেকে। আর তারাই হল সফলকাম। (সূরা আলে ইমরান:১০৪)<br /> <br /> আয়াতে (ولتكن) শব্দটি أمر তথা নির্দেশ সূচক বাক্য। যা আবশ্যকীয়তাকে প্রমাণ করে। আল্লাহ তাআলা আরও বলেন:-<br /> <br /> وَالْمُؤْمِنُونَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ يَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَيُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَيُطِيعُونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ أُولَئِكَ سَيَرْحَمُهُمُ اللَّهُ إِنَّ اللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ. (التوبة:71)<br /> <br /> আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের বন্ধু। তারা ভাল কাজের নির্দেশ দেয় এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে এবং সালাত প্রতিষ্ঠা করে। জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তার রাসূলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করে। এদেরই উপর আল্লাহ তাআলা দয়া করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়। (সূরা তাওবা:৭১)<br /> <br /> আর মুনাফেক সম্পর্কে বলেছেন :<br /> <br /> الْمُنَافِقُونَ وَالْمُنَافِقَاتُ بَعْضُهُمْ مِنْ بَعْضٍ يَأْمُرُونَ بِالْمُنْكَرِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمَعْرُوفِ.(التوبة: 67)<br /> <br /> মুনাফেক নর, মুনাফিক নারী একে অপরের অনুরূপ। অসৎকর্মের এবং সৎকর্ম নিষেধ করে। (সূরা তাওবা : ৬৭)<br /> <br /> আল্লাহ তাআলা আমর বিল মারূফ এবং নেহি আনিল মুনকারকে (সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ) মোমিন ও মুনাফেকদের সাথে পার্থক্যকারী নিদর্শন হিসাবে সাব্যস্ত করেছেন। সাহাবি আবু সাইদ খুদরী রা, থেকে বর্ণিত তিনি বলেন :<br /> <br /> سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: من رأى منكم منكرا فليغيره بيده، فإن لم يستطع فبلسانه، فان لم يستطع فبقلبه، و ذلك أضعف الإيمان.<br /> <br /> আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে বলতে শুনেছি তোমাদের কেউ অন্যায় অশ্লীল কর্ম দেখলে শক্তি দ্বারা প্রতিহত করবে। যদি সমর্থ না হও তাহলে কথার দ্বারা প্রতিবাদ করবে এতেও সমর্থ না হলে মন থেকে ঘৃণা করবে। আর এটিই হচ্ছে সবচে দুর্বল ঈমান। হাদিসে বর্ণিত فليغيره শব্দটি নির্দেশ সূচক বাক্য যা আবশ্যকীয়তার দাবিদার। ইজমা প্রসঙ্গে আল্লামা ইমাম নববী রহ. বলেন-<br /> <br /> وقد تطابق على وجوب الأمر بالمعروف والنهي عن المنكر الكتاب والسنة والإجماع.<br /> <br /> আমার বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকার ওয়াজিব হওয়া প্রসঙ্গে, কোরআন, সুন্নাহ, এবং ইজমা অভিন্ন মত পোষণ করেছে। বাকি থাকল ওয়াজিবে কেফায়া হওয়া। এটিও জমহুরে উম্মতের মতামতের ভিত্তিতে বলা হয়েছে, আল্লামা ইবনুল আরাবী মালেকি রহ. আল্লাহর বাণী ولتكن منكم أمة প্রসঙ্গে বলেন। আমর বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকার যে ফরযে কেফায়া তার প্রমাণ এ আয়াতের মধ্যেই বিদ্যমান।<br /> <br /> আমর বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকারের তিনটি তাৎপর্য :—<br /> <br /> (এক) সৃষ্টির বিরুদ্ধে إقامة حجة الله على خلقه আল্লাহর হুজ্জত প্রতিষ্ঠিত করা। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন :—<br /> <br /> رُسُلًا مُبَشِّرِينَ وَمُنْذِرِينَ لِئَلَّا يَكُونَ لِلنَّاسِ عَلَى اللَّهِ حُجَّةٌ بَعْدَ الرُّسُلِ . النساء:165)<br /> <br /> সুসংবাদদাতা ও ভীতিপ্রদর্শনকারী রাসূল প্রেরণ করেছি যাতে রাসূল আসার পর আল্লাহর বিরুদ্ধে মানুষের কোন অভিযোগ আরোপ করার মত অবকাশ না থাকে। (সূরা নিসা:১৬৫)<br /> <br /> (দুই) আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে বারণকারী আমর বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকারের দায়িত্ব পালনের জামানত থেকে মুক্তি পাওয়া। যেমন শনিবারের ব্যাপারে সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়ের ভাল ও সৎ লোকদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেছেন :—<br /> <br /> وَإِذْ قَالَتْ أُمَّةٌ مِنْهُمْ لِمَ تَعِظُونَ قَوْمًا اللَّهُ مُهْلِكُهُمْ أَوْ مُعَذِّبُهُمْ عَذَابًا شَدِيدًا قَالُوا مَعْذِرَةً إِلَى رَبِّكُمْ وَلَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ. (الأعراف:164)<br /> <br /> তারা বলল, তোমাদের পালনকর্তার নিকট দায়িত্ব-মুক্তির জন্য এবং যাতে তারা সাবধান হয় এ জন্য। (সূরা আরাফ : ১৬৪)<br /> <br /> (তিন) যাকে সৎ কাজের আদেশ দেয়া হয় বা অসৎ কাজ থেকে বারণ করা হয় তার উপকারের প্রত্যাশা করা। আল্লাহ তাআলা বলেন:-<br /> <br /> وَذَكِّرْ فَإِنَّ الذِّكْرَى تَنْفَعُ الْمُؤْمِنِينَ (الذاريات:55)<br /> <br /> আপনি উপদেশ দিতে থাকুন। কারণ উপদেশ মোমিনদের উপকারে আসবে। (যারিয়াত : ৫৫)<br /> আমর বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকারের ফজিলত :<br /> <br /> আমর বিল মারূফ এবং নেহি আনিল মুনকার ইসলামের একটি অত্যবশ্যকীয় দায়িত্ব। একটি মৌলিক স্তম্ভ এবং এ ধর্মের অনন্য বৈশিষ্ট্য। সংস্কার ও সংশোধনের বিশাল মাধ্যম। তার মাধ্যমে সত্যের জয় হয় এবং মিথ্যা ও বাতিল পরাভূত হয়। তার মাধ্যমে শান্তি ও সমৃদ্ধির বিস্তার ঘটে। কল্যাণ ও ঈমান বিস্তৃতি লাভ করে। যিনি আন্তরিকতা ও সততার সাথে এ দায়িত্ব পালন করেন তার জন্য রয়েছে মহা পুরস্কার ও মর্যাদাপূর্ণ পারিতোষিক।<br /> <br /> কোরআনে অসংখ্য আয়াত ও প্রিয় নবীর অগণিত হাদিস এর প্রমাণ বহন করে। এর অল্প কিছু নীচে প্রদত্ত হল।<br /> <br /> (১) আল্লাহ তাআলা বলেন:<br /> <br /> وَالْمُؤْمِنُونَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ يَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَيُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَيُطِيعُونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ أُولَئِكَ سَيَرْحَمُهُمُ اللَّهُ إِنَّ اللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ. (التوبة:71)<br /> <br /> অর্থাৎ আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের সহায়ক-সুহৃদ। তারা ভাল কাজের আদেশ দেয় এবং মন্দ থেকে বিরত রাখে। সালাত প্রতিষ্ঠিত করে, জাকাত দেয়, এবং আল্লাহ ও তার রাসূলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করে। এদেরই উপর আল্লাহ রহম ও দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী। প্রজ্ঞাময়। (সূরা তাওবা : ৭১)<br /> <br /> আয়াতে পরিষ্কার দেখা গেল যে আল্লাহ তাআলা আমর বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকারের উপর রহমতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।<br /> <br /> (২) মহান রাব্বুল আলামীন আমর বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকারের দায়িত্ব পালন কারীদের প্রশংসা এবং তাদের পরিণাম ও শেষ ফল কল্যাণময় বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন :—<br /> <br /> وَلْتَكُنْ مِنْكُمْ أُمَّةٌ يَدْعُونَ إِلَى الْخَيْرِ وَيَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ (آل عمران:104)<br /> <br /> আর তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল থাকা উচিত যারা আহ্বান জানাবে সৎকর্মের প্রতি, নির্দেশ দেবে ভাল কাজের এবং বারণ করবে অন্যায় কাজ থেকে। আর তারাই সফল কাম। (আলে ইমরান : ১০৪)<br /> <br /> (৩) আমর বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকার পার্থিব মুসিবত ও পারলৌকিক শাস্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়। আল্লাহ বলেছেন :—<br /> <br /> فَلَمَّا نَسُوا مَا ذُكِّرُوا بِهِ أَنْجَيْنَا الَّذِينَ يَنْهَوْنَ عَنِ السُّوءِ وَأَخَذْنَا الَّذِينَ ظَلَمُوا بِعَذَابٍ بَئِيسٍ بِمَا كَانُوا يَفْسُقُونَ .(الأعراف:165)<br /> <br /> যে উপদেশ তাদের দেয়া হয়েছিল তারা যখন তা বিস্মৃত হয়ে গেল। তখন আমি সে সব লোকদের মুক্তি দান করালাম যারা মন্দ কাজ থেকে বারণ করত। আর পাকড়াও করলাম গুনাহ্‌গার জালিমদেরকে নিকৃষ্ট আজাবের মাধ্যমে তাদের নাফরমানির ফলস্বরূপ। (সূরা আরাফ : ১৬৫)<br /> <br /> (৪) আমর বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকার পরিত্যাগ করা আল্লাহর লানত, গজব ও ঘৃণার কারণ এবং এ কারণেই দুনিয়া ও পরকালে কঠিন শাস্তি নেমে আসবে। আল্লাহ তাআলা বলেন : –<br /> <br /> لُعِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ عَلَى لِسَانِ دَاوُودَ وَعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ ذَلِكَ بِمَا عَصَوْا وَكَانُوا يَعْتَدُونَ ﴿78﴾ كَانُوا لَا يَتَنَاهَوْنَ عَنْ مُنْكَرٍ فَعَلُوهُ لَبِئْسَ مَا كَانُوا يَفْعَلُونَ ﴿79﴾.(المائدة:78-79)<br /> <br /> অর্থাৎ বনী ঈসরাইলের মধ্যে যারা কাফের তাদেরকে দাউদ ও মরিয়ম তনয় ঈসার মুখে অভিসম্পাত করা হয়েছে। এ কারণে যে তারা অবাধ্যতা করত এবং সীমালঙ্ঘন করত। তারা পরস্পরকে মন্দ কাজে নিষেধ করত না যা তারা করত। তারা যা করত অবশ্যই মন্দ ছিল। (সূরা মায়েদা : ৭৮-৭৯)<br /> <br /> মন্দ কাজে বাধা প্রদান ওয়াজিব হওয়ার শর্তাবলি :<br /> <br /> প্রথমত : আদেশদান ও বাধা প্রদানকারীর সাথে সংশ্লিষ্ট শর্তাবলি :<br /> <br /> (১) ঈমান। অমুসলিমদের উপর এ দায়িত্ব ওয়াজিব নয়।<br /> <br /> (২) মুকাল্লাফ বা শরিয়ত কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়া। অর্থাৎ সৎকাজের আদেশ দান ও অসৎ কাজে বাধা প্রদানকারীকে বুদ্ধিমান (عاقل) ও প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। নির্বোধ ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের উপর আদেশ ও নিষেধ করা ওয়াজিব নয়।<br /> <br /> (৩) সামর্থ্য। যিনি এ কাজে ক্ষমতা রাখেন তার উপরই ওয়াজিব। আর যার ক্ষমতা নেই, অক্ষম ও অসমর্থ তার উপর ওয়াজিব নয়। তবে তাকে অন্তর দিয়ে ঘৃণা করতে ও অপছন্দ করতে হবে। করা আবশ্যক।<br /> <br /> দ্বিতীয়ত: অসৎ কাজ (যা প্রতিহত করা হবে তার সাথে) সংশ্লিষ্ট শর্তাবলি।<br /> <br /> (১) কাজটি মন্দ ও নিষিদ্ধ এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। ধারণা ও সম্ভাবনার উপর নির্ভর করে বাধা প্রদান বা প্রতিহত করণ জায়েজ হবে না।<br /> <br /> (২) যে মন্দ কাজ প্রতিহত করার ইচ্ছা তাকে সম্পাদনকারী সহ প্রতিহত করার সময় কাজে লিপ্ত অবস্থায় পাওয়া যেতে হবে।<br /> <br /> (৩) প্রতিরোধ উদ্দিষ্ট অসৎকর্মটি স্পষ্ট ও দৃশ্যমান হতে হবে। অনুমান নির্ভর হলে প্রতিহত করণ জায়েজ হবে না। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেছেন: – ولا تجسسوا তোমরা দোষ ও গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান করো না। (সূরা হুজুরাত : ১৩)<br /> <br /> তাছাড়া ঘর ও এ জাতীয় (সংরক্ষিত) জিনিসের একটি স্বকীয় মর্যাদা আছে। শরয়ি কোন কার্যকারণ ব্যতীত সেটি বিনষ্ট কর বৈধ হবে না।<br /> <br /> আমর বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকার সম্পাদন কারীর কিছু আদব :<br /> <br /> ইখলাস ও আন্তরিকতা। কারণ সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের বাধা প্রধান একটি অন্যতম শীর্ষ ইবাদত ; আর ইবাদত প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন:-<br /> <br /> فَاعْبُدِ اللَّهَ مُخْلِصًا لَهُ الدِّينَ. (الزمر:2)<br /> <br /> অতএব আপনি নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে আল্লাহর ইবাদত করুন।<br /> <br /> (২) ইলম তথা প্রয়োজনীয় জ্ঞান। ইলম ব্যতীত অসৎ কাজে বাধা প্রদান করতে যাবে না। কারণ এতে শরয়ি নিষিদ্ধ কাজ সমূহে পতিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন:-<br /> <br /> قُلْ هَذِهِ سَبِيلِي أَدْعُو إِلَى اللَّهِ عَلَى بَصِيرَةٍ أَنَا وَمَنِ اتَّبَعَنِي . يوسف 108<br /> <br /> বলে দিন, এটাই আমার পথ আমি আল্লাহর দিকে বুঝে শুনে সজ্ঞানে আহ্বান করি-আমি এবং আমার অনুসারীরা (ইউসুফ : ১০৮)<br /> <br /> (৩) আমর বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকারের ক্ষেত্রে হক স্পষ্ট করার পাশাপাশি হিকমত ও সুকৌশল, সদুপদেশ এবং সূক্ষ্ম পন্থার সাহায্য নেয়া। আল্লাহ তাআলা বলেন :—<br /> <br /> ادْعُ إِلَى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ. (النجل:125)<br /> <br /> অর্থাৎ আপনি মানুষদের আপনার প্রতিপালকের পথে হিকমত ও সদুপদেশের মাধ্যমে আহ্বান করুন। (সূরা নাহল : ১২৫)<br /> <br /> আল্লাহ তাআলা মূসা ও হারুন আ.-কে ফেরআউনকে দাওয়াত দেয়ার কৌশল শিক্ষা দিয়ে বলেছেন :—<br /> <br /> فَقُولَا لَهُ قَوْلًا لَيِّنًا لَعَلَّهُ يَتَذَكَّرُ أَوْ يَخْشَى. (طه:44)<br /> <br /> অত:পর তোমরা তার সাথে নম্র কথা বলবে এতে করে হয়তো সে উপদেশ গ্রহণ করবে অথবা ভয় করবে। (ত্ব-হা:৪৪)<br /> <br /> আমাদের নবী মুহম্মদ সা.-কে লক্ষ্য করে বলেন :—<br /> <br /> وَلَوْ كُنْتَ فَظًّا غَلِيظَ الْقَلْبِ لَانْفَضُّوا مِنْ حَوْلِكَ. (آل عمران:159)<br /> <br /> আপনি যদি রূঢ় ও কঠোর হৃদয় হতেন তাহলে তারা আপনার কাছ থেকে দূরে সরে যেত। (সূরা আল ইমরান : ১৫৯)<br /> <br /> (৪) আমর বিল মারূফ ও নেহি আমিল মুনকার-এর ক্ষেত্রে সফল হওয়ার জন্য সর্বাপেক্ষা জরুরি বিষয় হচ্ছে : সবর ধৈর্য এবং সহনশীলতা। লোকমান আ. স্বীয় পুত্রকে উপদেশ দিয়ে বলেছেন :—<br /> <br /> يَا بُنَيَّ أَقِمِ الصَّلَاةَ وَأْمُرْ بِالْمَعْرُوفِ وَانْهَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَاصْبِرْ عَلَى مَا أَصَابَكَ إِنَّ ذَلِكَ مِنْ عَزْمِ الْأُمُورِ (لقمان:17)<br /> <br /> হে বৎস ! সালাত কায়েম কর, সৎকাজের আদেশ দাও। মন্দকাজে নিষেধ কর এবং বিপদাপদে সবর কর, এটিই তো দৃঢ় সংকল্পের কাজ। (সূরা লোকমান : ১৭)<br /> <br /> (৫) কল্যাণ ও অকল্যাণের প্রতি লক্ষ্য রাখা। সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ তখনই করবে যখন অকল্যাণের চেয়ে কল্যাণের দিকটি প্রবল থাকে আর যদি অবস্থা বিপরীত হয় যে এটি করতে গেলে কল্যাণের চেয়ে অকল্যাণের সম্ভাবনাই বেশি তাহলে আমর বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকার জায়েজ হবে না। কারণ এতে অপেক্ষাকৃত ছোট মুনকার দূর করতে গিয়ে আরো বড় মুনকারে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে।<br /> <br /> (৬) মুনকার ও অসৎকাজ দূর করার ক্ষেত্রে সবচে সহজ কাজের সাথে সংগতিপূর্ণ পন্থা অবলম্বন করা। সুতরাং, সংগতি পূর্ণ পন্থা ও মাধ্যম বাদ দিয়ে আরো বড় মাধ্যম গ্রহণ করা জায়েজ হবে না।<br /> <br /> (৭) আবু সাইদ খুদরী রা. কর্তৃক বর্ণিত হাদিসের বিন্যাস অনুযায়ী ধারাবাহিকতা ও স্তর বিবেচনায় রেখে মন্দ ও অসৎ কাজে বাধা প্রদানের পদক্ষেপ নেয়া।<br /> <br /> আবু সাইদ খুদরী রা. বলেন. আমি রাসূল সা.-কে বলতে শুনেছি। তোমাদের কেউ মন্দ কাজ হতে দেখলে (শক্তি প্রয়োগ করে) প্রতিহত করবে, সম্ভব না হলে (মুখের মাধ্যমে) প্রতিবাদ করবে। এও সম্ভব না হলে (মনে মনে) ঘৃণা করবে। আর এটি হচ্ছে ঈমানের সর্ব নিম্ন স্তর। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে, সহজ পন্থা ও পদ্ধতিতে কাজ সম্ভব হলে কঠোর পদ্ধতি অবলম্বনের প্রয়োজন নেই। বরং এটি ঠিকও হবে না। যেমন, যে মন্দ কাজ প্রতিবাদের মাধ্যমে দূর করা সম্ভব সেখানে শক্তি প্রয়োগ করে প্রতিহত করা শরিয়তের দৃষ্টিতে ঠিক নয়। এ নীতিমালা সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।<br /> <br /> আমর বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকারের উপকারিতা :<br /> <br /> সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজে বাধা প্রদানে অনেক ফায়দা ও উপকারিতা রয়েছে, তার কয়েকটি নিম্নে প্রদত্ত হল।<br /> <br /> (১) মন্দ ও অন্যায় দেখে তা প্রতিরোধ ও প্রতিহত করার পদক্ষেপ না নেয়া শাস্তি যোগ্য অপরাধ। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে কঠোর হুশিয়ারী এসেছে। সুতরাং আমার বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকারের মাধ্যমে আল্লাহর সে শাস্তি হতে দূরে থাকা যায় ও পরিত্রাণ পাওয়া যায়।<br /> <br /> (২) আল্লাহ তাআলা কল্যাণ ও নেক কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করার উৎসাহ-বরং নির্দেশ দিয়েছেন। আমর বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকারের মাধ্যমে উক্ত নির্দেশের বাস্তবায়ন হয় এবং কল্যাণ ও নেকের কাজে সহযোগিতা হয়।<br /> <br /> (৩) সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। কারণ এর মাধ্যমে যাবতীয় অকল্যাণ ও অনিষ্ট বিদূরিত হয়। ফলে মানুষ স্বীয় দ্বীন-জান-সম্পদ ও সম্মানের ব্যাপারে নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা বোধ করে।<br /> <br /> (৪) এর মাধ্যমে অন্যায় ও অনিষ্টের হার হ্রাস পায়। সমাজ থেকে মন্দ ও অশ্লীল কাজের প্রতিযোগিতা প্রদর্শনী বিলুপ্ত ও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। যেগুলো মূলত সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি সৃষ্টি করত। ফলে সমাজ শান্তি শৃঙ্খলা, মিল-মহব্বত ও সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠে।</div>

সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ

রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে- অনুবাদক : ইকবাল হোছাইন মাছুম সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধ المعروف এর আভিধানিক অর্থ হচ্...

আরও পড়ুন »

di nul haque bd logo

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /><iframe allowfullscreen="allowfullscreen" class="b-hbp-video b-uploaded" frameborder="0" height="266" id="BLOGGER-video-a3eb9caee9f2bc94-5667" mozallowfullscreen="mozallowfullscreen" src="https://draft.blogger.com/video.g?token=AD6v5dzehwhZxy6uw3U17fb18btByKTniU92DnE7iVBDfcGlq77VcU23NF2CJSa6rBBK-xLG3_98fHNVJV_raW9df30PrIeaPA8Cg6uPAqRin2Y73-zi8nsRwtwz12wX8M2KDyK5VFQ" webkitallowfullscreen="webkitallowfullscreen" width="320"></iframe></div> <br /></div>

di nul haque bd logo

আরও পড়ুন »

আসমানী কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান আনার হাকিকত

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <span style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: small; line-height: 22px; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না</span><br /> <br /> <center style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"> রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-</center> <span style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: small; line-height: 22px; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"></span><br style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;" /> <div class="list-group-item" style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"> <div class="list-group-item-text ftwa-single-q " style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;"> <span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: red; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><a href="http://i1.wp.com/www.quraneralo.com/wp-content/uploads/2014/11/Quran-Is-The-Only-Medicine-660x280.jpg" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;"><img alt="Quran-Is-The-Only-Medicine-660x280" class="aligncenter size-medium wp-image-5333 tie-appear" height="187" src="http://i1.wp.com/www.quraneralo.com/wp-content/uploads/2014/11/Quran-Is-The-Only-Medicine-660x280.jpg?resize=442%2C187" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; clear: both; display: block; height: auto; list-style: none; margin: 5px auto; max-width: 100%; opacity: 1; outline: none; padding: 0px; transition: all 0.4s ease-in-out; vertical-align: middle;" width="442" /></a></span></div> <div class="list-group-item-text ftwa-single-q " style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;"> <span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: red; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">প্রশ্ন: আসমানী কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান বলতে কী বুঝায়?</span></div> </div> <div class="list-group-item" style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;"> <div class="list-group-item-text ftwa-single-answer font-nrmal" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"> <div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।</div> <div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">আসমানী কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান চারটি বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে:</strong></div> <div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">এক.</span></strong></div> <div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> সুদৃঢ়ভাবে এই বিশ্বাস পোষণ করা যে, সবগুলো আসমানী কিতাব আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিল হয়েছে। বাস্তবে আল্লাহ তাআলা এই বাণীসমূহ দিয়ে কথা বলেছেন। এ বাণীসমূহের মধ্যে কোনটি ফেরেশতার মাধ্যম ছাড়া পর্দার আড়াল থেকে সরাসরি আল্লাহর নিকট হতে শ্রবণীয়। এর মধ্যে কোনটি ফেরেশতার মাধ্যমে রাসূলের নিকট পৌঁছেছে। এর মধ্যে কোনটি আল্লাহ তাআলা তাঁর নিজ হাতে লিপিবদ্ধ করেছেন।</div> <div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;"> <span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: maroon; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">“</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">আল্লাহ কোন মানুষের সাথে কথা বললে বলেন ওহীর মাধ্যমে অথবা পর্দার আড়াল থেকে অথবা কোন দূত পাঠানোর মাধ্যমে; যে দূত আল্লাহর অনুমতি সাপেক্ষে তিনি যা চান সে ওহী পৌঁছে দেন। নিশ্চয় তিনি মহীয়ান, প্রজ্ঞাময়।</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">” </i>[সূরা আশ্‌ শুরা, আয়াত: ৫১]</span></div> <div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;">  আল্লাহ আরো বলেন:</div> <div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;"> <span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: maroon; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">“</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">আর আল্লাহ মূসার সাথে সরাসরি</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"> </i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">ক</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">থা</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"> </i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">বলে</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">ছেন</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">।</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">” </i>[সূরা নিসা, আয়াত: ১৬৪]</span></div> <div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> আল্লাহ তাআলা তওরাতের ব্যাপারে বলেন:<i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"> </i></div> <div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;"> <span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: maroon; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">“</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">আর আমি তার জন্য ফলকসমূহে লিখে দিয়েছি প্রত্যেক বিষয়ের উপদেশ এবং প্রত্যেক বিষয়ের বিস্তারিত ব্যাখ্যা।</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">” </i>[সূরা আরাফ, আয়াত: ১৪৫]</span></div> <div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">দুই.</span></strong></div> <div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> এ কিতাবসমূহের মধ্যে আল্লাহ তাআলা যেগুলোর বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখ করেছেন সেগুলোর প্রতি বিস্তারিতভাবে ঈমান আনা। এ ধরনের কিতাবগুলো হচ্ছে- কুরআন, তওরাত, ইঞ্জিল, যাবুর, সহিফায়ে ইব্রাহিম ও সহিফায়ে মূসা। এ কিতাবগুলোর কথা আল্লাহ তাআলা কুরআনে উল্লেখ করেছেন।</div> <div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> আর আল্লাহ যে কিতাবগুলোর কথা এজমালিভাবে উল্লেখ করেছেন আমরা সে কিতাবগুলোর প্রতি এজমালিভাবে ঈমান আনব। ঠিক যেইভাবে আল্লাহ আমাদেরকে ঈমান আনার নির্দেশ দিয়েছেন-</div> <div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;"> <span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: maroon; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">“</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">বলুন</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">, </i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">আল্লাহ যে কিতাব নাযিল করেছেন</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">, </i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">আমি তাতে বিশ্বাস স্থাপন করেছি</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">।</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">” </i>[সূরা আশ্‌ শুরা, আয়াত: ১৫]</span></div> <div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">তিন.</strong></span></div> <div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> এ কিতাবসমূহে উল্লেখিত যে সংবাদগুলো সহিহ সনদে জানা গেছে সেগুলোর প্রতি ঈমান আনা। যেমন- কুরআনের সংবাদসমূহ। অনুরূপভাবে পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবসমূহের যে সংবাদগুলোতে পরিবর্তন বা বিকৃতি ঘটেনি সে সংবাদসমূহের প্রতি ঈমান আনা।</div> <div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">চার.</strong></span></div> <div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> এই বিশ্বাস পোষণ করা যে, আল্লাহ তাআলা কুরআনকে সকল কিতাবের উপর ফয়সালাকারী ও সত্যায়নকারীরূপে প্রেরণ করেছেন।</div> <div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;"> <span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: maroon; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">“</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">আর আমি তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি যথাযথভাবে, এর পূর্বে অবতীর্ণ কিতাবের সত্যায়নকারী (মুসাদ্দিক) ও তদারককারীরূপে (মুহাইমিন)।</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">” </i>[সূরা মায়েদা, আয়াত: ৪৮]</span></div> <div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> তাফসিরকারগণ বলেন, মুহাইমিন অর্থ হচ্ছে- কুরআনের পূর্বে অবতীর্ণ কিতাবের উপর ফয়সালাকারী,  সাক্ষী ও সত্যায়নকারী। অর্থাৎ সে কিতাবসমূহে যা কিছু সত্য কুরআন তার সত্যায়ন করবে এবং যা কিছুতে বিকৃতি, পরিবর্তন ও পরিবর্ধন ঘটেছে সেগুলোকে প্রত্যাখ্যান করবে এবং সে কিতাবসমূহের বিধানাবলীকে রহিত করবে; তথা পূর্ববর্তী বিধানসমূহ উঠিয়ে দিবে অথবা নতুন বিধিবিধান আরোপ করবে। অতএব, পূর্ববর্তী কিতাবসমূহের অনুসরণকারী যদি হঠকারী না হয় তাহলে তাকে কুরআনের কাছে নতি স্বীকার করতে হবে।</div> <div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;"> <span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: maroon; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">“</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">ঐসব ব্যক্তি</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"> </i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">আমি এ(কিতাবে)র পূর্বে যাদেরকে কিতাব দিয়েছিলাম, তারা এ(কিতাবে)র প্রতিও ঈমান রাখে। এবং যখন তাদের নিকট এই কিতাব তিলাওয়াত করা হয় তখন তারা বলে, </i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">‘</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি, নিশ্চয় এটা আমাদের রবের পক্ষ থেকে সত্য। নিশ্চয় আমরা এর পূর্বেও মুসলিম ছিলাম।</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">” </i>[সূরা কাসাস, আয়াত: ৫২-৫৩]।</span></div> <div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> উম্মতে মুহাম্মাদির প্রতিটি সদস্যের কর্তব্য হচ্ছে- প্রকাশ্যে ও গোপনে এই কুরআনের অনুসরণ করা, কুরআনকে আঁকড়ে ধরা, কুরআনের হক আদায় করা। ঠিক যেভাবে আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়েছেন-</div> <div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;"> <span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: maroon; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">“</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">এটি এমন একটি গ্রন্থ</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">, </i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">যা আমি অবতীর্ণ করেছি</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">, </i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">খুব মঙ্গলময়</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">। </i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">অতএব</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">, </i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">এর অনুসরণ কর এবং ভয় কর-যাতে তোমরা করুণাপ্রাপ্ত হও</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">।</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">” </i>[সূরা আনআম, আয়াত: ১৫৫]</span></div> <div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> কুরআন আঁকড়ে ধরা ও কুরআনের হক আদায় করার অর্থ হচ্ছে- কুরআন যা কিছুকে হালাল ঘোষণা করেছে সেগুলোকে হালাল হিসেবে গ্রহণ করা, কুরআনের নির্দেশের প্রতি অনুগত হওয়া, ধমকির বিষয়াবলী হতে দূরে থাকা, দৃষ্টান্তসমূহ থেকে উপদেশ গ্রহণ করা, কাহিনীসমূহ হতে শিক্ষা গ্রহণ করা, মুহকাম আয়াতের জ্ঞান অর্জন করা, মুতাশাবিহ আয়াতের প্রতি আত্মসমর্পন করা, কুরআন নির্ধারিত সীমারেখায় থেমে যাওয়া, কুরআন রক্ষার্থে প্রতিরোধ গড়ে তোলা, কুরআন মুখস্ত করা, তেলাওয়াত করা, এর আয়াতাবলী নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করা, রাতদিন কুরআন দিয়ে নামায পড়া, কুরআনের কল্যাণে কাজ করা, ইলমের ভিত্তিতে কুরআনের দিকে দাওয়াত দেয়া।</div> <div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> আসমানী কিতাবের প্রতি ঈমানার মাধ্যমে বান্দা অনেকগুলো উপকার লাভ করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-</div> <div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">১. বান্দার প্রতি আল্লাহ তাআলার অত্যধিক গুরুত্বের বিষয়টি অবহিত হওয়া। তাইতো তিনি প্রত্যেক কওমকে দিকনির্দেশনা দেয়ার জন্য আলাদা আলাদা কিতাব পাঠিয়েছেন।</strong></div> <div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">২. শরিয়ত বা আইন আরোপের ক্ষেত্রে আল্লাহ তাআলার হেকমত সম্পর্ক জানা। তাইতো তিনি প্রত্যেক কওমের পরিবেশ-পরিস্থিতির উপযোগী শরিয়ত (আইন) প্রদান করেছেন। তিনি বলেছেন: <i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">“</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">আমি তোমাদের প্রত্যেককে একটি আইন ও পথ দিয়েছি।</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">”</i><i style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">।</i>[সূরা মায়েদা, আয়াত: ৪৮]</strong></div> <div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">৩. আল্লাহ তাআলার এই মহান নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা।</strong></div> <div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">৪. কুরআন তেলাওয়াত, কুরআন গবেষণা, কুরআনের অর্থ বুঝা ও সে অনুযায়ী আমল করার মাধ্যমে কুরআনের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করা।</strong></div> <div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> আল্লাহই ভাল জানেন।</div> <div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> দেখুন:</div> <div style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> আলামুস সুন্নাহ আল-মানশুরা (৯০-৯৩) এবং শাইখ উছাইমীনের উসুল ছালাছা এর ব্যাখ্যা (৯১, ৯২)।</div> </div> </div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-align: justify;"> শাইখ মুহাম্মদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ</div> </div>

আসমানী কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান আনার হাকিকত

প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে- প্রশ্ন: আসমানী কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান বলতে কী বুঝায়? ...

আরও পড়ুন »

ঈমানের প্রকৃত স্বাদ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <span style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: small; line-height: 22px; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না</span><br style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;" /><br /> <center style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"> রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-</center> <span style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #993300; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: small; line-height: 22px; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"></span><br style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;" /> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;"> </div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;"> <a href="http://i1.wp.com/www.quraneralo.com/wp-content/uploads/2015/02/3261000898_b00f610bab.jpg" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;"><img alt="3261000898_b00f610bab" class="aligncenter wp-image-5476 size-full tie-appear" height="316" src="http://i1.wp.com/www.quraneralo.com/wp-content/uploads/2015/02/3261000898_b00f610bab.jpg?resize=500%2C316" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; clear: both; display: block; height: auto; list-style: none; margin: 5px auto; max-width: 100%; opacity: 1; outline: none; padding: 0px; transition: all 0.4s ease-in-out; vertical-align: middle;" width="500" /></a></div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px; text-align: center;"> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">লেখক</strong>: জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের | <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">সম্পাদনা : </strong>ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া</div> <h4 style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: Helvetica, 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi; font-size: 20px; font-weight: normal; line-height: 1em; list-style: none; margin: 25px 0px 10px; outline: none; padding: 0px;"> <span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: maroon; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">ঈমানের প্রকৃত স্বাদ বলতে আমরা কি বুঝি? </strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"> </strong></span></h4> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> ঈমান একটি মহা মূল্যবান বস্তু। দুনিয়ার সব কিছুর চাইতে ঈমানের মূল্য অনেক বেশি। একজন প্রকৃত মুমিন সে তার জীবনের সব কিছুকে ত্যাগ করতে রাজি, কিন্তু ঈমান থেকে এক চুল পরিমাণও বিচ্যুত হতে সে রাজি নয়। একজন মুমিনের নিকট ঈমানই সবচেয়ে বড় ও মহা মূল্যবান সম্পদ। এছাড়া দুনিয়ার সব কিছুই তার নিকট তুচ্ছ ও মূল্যহীন। সমগ্র দুনিয়ার ধন-সম্পদ, রাজত্ব, ভোগ সামগ্রী তার ঈমানের সামনে একেবারেই নগণ্য। ঈমানের মূল বিষয় হল, আল্লাহর উপর অবিচল, অটুট ও দৃঢ় বিশ্বাস এবং আল্লাহর প্রেরিত রাসূল ও তার দেওয়া দীনের আনুগত্য করা। ঈমানের শিকড় খুবই মজবুত এবং দৃঢ়। ঈমানের পরিধি অনেক ব্যাপক ও বিস্তৃত। ঈমানের শাখা প্রশাখা অন্তহীন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,</div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">﴿ أَلَمۡ تَرَ كَيۡفَ ضَرَبَ ٱللَّهُ مَثَلٗا كَلِمَةٗ طَيِّبَةٗ كَشَجَرَةٖ طَيِّبَةٍ أَصۡلُهَا ثَابِتٞ وَفَرۡعُهَا فِي ٱلسَّمَآءِ ٢٤ تُؤۡتِيٓ أُكُلَهَا كُلَّ حِينِۢ بِإِذۡنِ رَبِّهَاۗ وَيَضۡرِبُ ٱللَّهُ ٱلۡأَمۡثَالَ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمۡ يَتَذَكَّرُونَ ٢٥ ﴾ [ابراهيم: ٢٤،  ٢٥]</strong></div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: green; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">“তুমি কি দেখ না, আল্লাহ কীভাবে উপমা পেশ করেছেন? কালিমা তাইয়েবা, যা একটি ভাল বৃক্ষের ন্যায়, যার মূল সুস্থির আর শাখা-প্রশাখা আকাশে। সেটি তার রবের অনুমতিতে সব সময় ফল দান করে; আর আল্লাহ মানুষের জন্য নানা দৃষ্টান্ত প্রদান করেন, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে”</span>।<a href="http://www.quraneralo.com/the-true-taste-of-faith/#_ftn1" name="_ftnref1" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;">[1]</a></div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> ঈমান গ্রহণকারী একজন কৃতদাসও আল্লাহর নিকট সমগ্র পৃথিবী বিখ্যাত কোনো রাজা মহারাজা বা অনেক বেশি সম্পদের মালিকের চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান। যে ঈমানই একজন কাফির জাহান্নামীকে জান্নাতের অন্তর্ভুক্ত করবে। একজন ব্যক্তির চূড়ান্ত সফলতা ও বিফলতার ফয়সালা প্রকৃতপক্ষে ঈমানের ওপর হয়। নবীদের দাওয়াতের মূল বিষয় ছিল ঈমান। আল্লাহ তা‘আলার নিকট থেকে তাঁর সকল অহি ও কিতাবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ঈমান। এ ঈমানের সাথে সম্পৃক্ত না হলে ব্যক্তির নেক আমলের কোনও মূল্য বহন করে না। এ ঈমানই ব্যক্তিকে আল্লাহ তালার প্রিয়জন বানায়। তার জীবনের নিরাপত্তা সম্মান আল্লাহর জিম্মায় থাকে। পৃথিবীর সমস্ত শয়তানি শক্তি ঈমানের শত্রু। মুমিনের কারণে পৃথিবীর ইতিহাসে শতশত ঐতিহাসিক ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। কুরআন সাক্ষ্য দিয়ে বলছে তাদের ওপর অত্যাচার ও জুলুমের কারণ ঈমান ছাড়া আর কিছুই ছিল না। এমন একটি ইতিহাসের প্রতি ইঙ্গিত করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,</div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">﴿ وَٱلسَّمَآءِ ذَاتِ ٱلۡبُرُوجِ ١ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡمَوۡعُودِ ٢ وَشَاهِدٖ وَمَشۡهُودٖ ٣ قُتِلَ أَصۡحَٰبُ ٱلۡأُخۡدُودِ ٤ ٱلنَّارِ ذَاتِ ٱلۡوَقُودِ ٥ إِذۡ هُمۡ عَلَيۡهَا قُعُودٞ ٦ وَهُمۡ عَلَىٰ مَا يَفۡعَلُونَ بِٱلۡمُؤۡمِنِينَ شُهُودٞ ٧ وَمَا نَقَمُواْ مِنۡهُمۡ إِلَّآ أَن يُؤۡمِنُواْ بِٱللَّهِ ٱلۡعَزِيزِ ٱلۡحَمِيدِ ٨ ﴾ [البروج: ١،  ٨]</strong></div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: green; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">“শপথ দুর্গময় আকাশমণ্ডলীর। সে কঠিন দিনের, যে দিবসের ওয়াদা করা হয়েছে। শপথ তাদের যারা কিয়ামতকে অবলোকন করবে আর তার শপথ সে কঠিন দিবসে যা কিছু দেখানো হবে। ধ্বংস তাদের জন্য যারা বিশ্বাসীদেরকে আগুনে পুড়ে মারার জন্য গর্ত খনন করছিল তাতে প্রজ্বলিত করল দাউ দাউ অনল। মুমিনদের নিক্ষেপ করা হচ্ছিল সে প্রজ্বলিত অনল কুণ্ডে আর তারা সে গর্তের মুখে তামাশা দেখছিল। ঈমানদারদের ওপর নিষ্ঠুর আচরণের একটিই কারণ, তারা তো মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ তা‘আলা যিনি স-প্রশংসিত সে মহান প্রভুর ওপর বিশ্বাস ছাড়া আর কোনও অপরাধ করেনি</span><a href="http://www.quraneralo.com/the-true-taste-of-faith/#_ftn2" name="_ftnref2" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;">[2]</a>।<span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: green; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">”</span></div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> উপরের আয়াতগুলোতে ঈমানের কারণে নির্যাতনের একটি জীবন্ত চিত্র আল্লাহর অহিতে অঙ্কিত হয়েছে। কুরআনুল কারিম বিভিন্ন সূরায় অনুরূপ চিত্র আরও মর্মস্পর্শী ভাবেও এঁকেছেন। এগুলো কোনও সাহিত্যিকের কল্পনার বুনুনকর্ম নয়। এগুলো মহাকালে ঘটে যাওয়া মহাসত্যের মহা দলিল। এ আয়াতগুলো সু-স্পষ্ট যে, হাজারো জুলুম নির্যাতন অন্যায় অত্যাচার একজন মুমিনকে তার ঈমান থেকে দূরে সরাতে পারেনি। তাদের নিকট ঈমানের স্বাদ ও মজা এত বেশি ছিল যে, তারা আগুনে পুড়ে মারা যাওয়াকে ঈমান থেকে বিচ্যুত হওয়ার তুলনায় অধিক প্রিয় মনে করত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি হাদিসে বলেছেন,</div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">عَنْ خَبَّابٍ قَالَ: شَكَوْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُتَوَسِّدٌ بُرْدَةً فِي ظِلِّ الْكَعْبَةِ فَقُلْنَا: أَلَا تَسْتَنْصِرُ لَنَا اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ ـ أَوْ أَلَا يَعْنِي: تَسْتَنْصِرُ لَنَا ـ؟ فَقَالَ: «</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">قَدْ كَانَ الرَّجُلُ فِيمَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ يُؤْخَذُ فَيُحْفَرُ لَهُ فِي الْأَرْضِ فَيُجَاءُ بِالْمِنْشَارِ فَيُوضَعُ عَلَى رَأْسِهِ فَيُجْعَلُ بِنِصْفَيْنِ فَمَا يَصُدُّهُ ذَلِكَ عَنْ دِينِهِ، وَيُمْشَطُ بِأَمْشَاطِ الْحَدِيدِ مَا دُونَ عَظْمِهِ مِنْ لَحْمٍ أَوْ عَصَبٍ فَمَا يَصُدُّهُ ذَلِكَ عَنْ دِينِهِ، وَاللَّهِ لَيُتِمَّنَّ اللَّهُ هَذَا الْأَمْرَ حَتَّى يَسِيرَ الرَّاكِبُ مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى حَضْرَمَوْتَ لَا يَخَافُ إِلَّا اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ، وَالذِّئْبَ عَلَى غَنَمِهِ وَلَكِنَّكُمْ تَسْتَعْجِلُونَ</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">»</strong></div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> “খাব্বাব রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন কাবার ছায়া তলে একটি চাদরকে বালিশ বানিয়ে শুয়ে ছিল। তখন আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল আমাদের জন্য আল্লাহর সাহায্য কামনা করবেন না? অত:পর তিনি বললেন, তোমাদের পূর্বেকার লোকদের ইতিহাস হল, তাদেরকে ধরে আনা হত এবং জমিনে তার জন্য গর্ত খনন করে, তাতে তাকে নিক্ষেপ করার পর তার মাথার উপর করাত বসিয়ে তাকে দ্বিখণ্ডিত করা হত। এহেন নির্যাতনও তাকে তার দ্বীন থেকে ফেরাতে পারত না। লোহার চিরুনি দিতে তার চামড়া আঁচড়ানো হত, তার দেহে হাড় চাড়া আর কোনো গোস্ত অবশিষ্ট থাকত না, এত নির্যাতনও তাদেরকে তাদের দ্বীন থেকে বিন্দু পরিমাণও বিচ্যুতি ঘটাতে পারত না। আল্লাহর শপথ, অবশ্যই আল্লাহ তা‘আলা এ দীনকে পরিপূর্ণ করবে। এমনকি একজন মুসাফির মদিনা থেকে হাদরা-মওত পর্যন্ত নিরাপদে ভ্রমণ করবে, সে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে এবং বকরীর জন্য নেকড়ে ছাড়া আর কাউকে ভয় করবে না। কিন্তু তোমরা তাড়াহুড়া করছ”।<a href="http://www.quraneralo.com/the-true-taste-of-faith/#_ftn3" name="_ftnref3" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;">[3]</a></div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ কথাটি হচ্ছে এত নির্যাতন, এত নিষ্ঠুরতা, এত লোমহর্ষক বর্বরতা সহ্য করে ঈমানের ওপর অটল ও দৃঢ় কদমে দাঁড়িয়ে থাকতে কিসে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করেছিল? শরীরের এক একটি অংশ বিচ্ছেদ করার পর, হাড্ডি থেকে গোশতকে লোহার চিরুনি দিয়ে তুলে নেয়ার পরও তাদের কলিজা থেকে ঈমানকে পৃথক করা যায়নি। এটি সহজ বিষয় নয়। জ্বলন্ত কয়লার ওপর জীবন্ত বেলালকে শুইয়ে পাথর চাপা দেওয়া হয়েছে শরীরের চর্বি গলে গলে কয়লা দেহে ঢুকে পড়েছে, রক্ত ও চর্বিতে আগুন নিভে গিয়েছে। সে মর্মান্তিক মুহূর্তেও  বেলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু ঈমান থেকে এক তিল পরিমাণ দূরে সরেননি। অচেতন অবস্থায় তিনি অস্পষ্ট স্বরে বলছিলেন, ‘আহাদুন আহাদুন’। এ ধরনের অসংখ্য ঘটনা সাহাবীদের ও পরবর্তীদের জীবনে রয়েছে ও গ্রন্থাবদ্ধ রয়েছে। কিন্তু সে মজলুম মুসলিমরা ঈমানের মধ্যে কী রহস্যজনক এক মজা খুঁজে পেয়েছিলেন। পার্থিব কোনও আনন্দ বা অসহ্য কোনো যাতনা তাদেরকে ঈমানের স্বাদ আস্বাদনে এক মুহূর্তের জন্য বিরত রাখতে পারে নি। কি ছিল তাদের জীবনে এমন অর্জন যা তাদেরকে ঈমান থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। মুখে কতগুলো বুলি আর ঈমানের কথাসমূহ উচ্চারণের নাম প্রকৃত ঈমান নয়। আমাদেরকে সে লোকদের মত ঈমান আনতে হবে যাদের মাথার ওপর করাত দিয়ে চিরে দ্বিখণ্ডিত করার পরও ঈমান অখণ্ড ছিল। এক চুল পরিমাণ বিশ্বাস টলেনি যাদের। কারা আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার পরও ঈমানের উপর অটুট অবিচল থাকবে। এ বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দুটি হাদিস নিয়ে আমরা আলোচনা করব।</div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">প্রথম হাদিস:</strong></div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">عَنْ عَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">ذَاقَ طَعْمَ الْإِيمَانِ مَنْ رَضِيَ بِاللهِ رَبًّا، وَبِالْإِسْلامِ دِينًا، وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولًا</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">»</strong></div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #24211f; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">অনু</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">বাদ:</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"> “</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">আব্বাস ইবনে আব্দুল মোত্তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">, </strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">, </strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">যে ব্যক্তি আল্লাহ</strong> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">তা</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">‘আলাকে রব</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">, </strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">ইসলামকে জীবন বিধান ও মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে রাসূল</strong> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">হিসেবে শুধু ঈমান আনেনি বরং মনে প্রাণে গ্রহণ করেছেন ও সন্তুষ্ট হয়েছেন</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">,</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">তিনি ঈমানের প্রকৃত স্বাদ পেয়েছেন।</strong></span><a href="http://www.quraneralo.com/the-true-taste-of-faith/#_ftn4" name="_ftnref4" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">[4]</strong></a></div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> উল্লেখিত হাদিসে তিনটি গুণের কথা আলোচনা করা হয়েছে।</div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: red; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">এক-</span></strong> আল্লাহ তা‘আলাই এক মাত্র ‘রব’। যিনি সন্তুষ্ট হয়েছেন আল্লাহকে রব হিসেবে। রব হিসেবে আল্লাহ তা‘আলাকে গ্রহণ করার অর্থ তিনি একমাত্র প্রতিপালক, তিনি মালিক ও প্রভু, তিনি তত্ত্বাবধান-কারী। আসমান ও জমিনের স্রষ্টা তিনিই। তিনিই চন্দ্র ও সূর্যকে নিয়ন্ত্রণ করেন। আলো বাতাস ও আগুন পানি সবই তার অধীনে চলে। তিনি মানুষের স্রষ্টা আবার তিনি তাদের হায়াত ও মওতের মালিক। তিনি যাকে ইচ্ছা জীবন দেন আবার যাকে ইচ্ছা মৃত্যু দেন।</div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> আর আল্লাহকে রব হিসেবে মেনে নেওয়ার দাবি হল, তিনি একমাত্র আনুগত্য পাওয়ার হকদার। যাবতীয় গোলামী তাঁর জন্য, ইবাদত তার জন্য। রবুবিয়াতের পূর্ণ ব্যাখ্যা সহকারে ঈমান আনা একান্ত জরুরি। পৃথিবী বিপর্যয় সৃষ্টিকারী শক্তিগুলো যুগে যুগে নিজদেরকে “আমি তোমাদের শ্রেষ্ঠ রব” বলে দাবি করেছে। অগণিত মানব তাদের রবুবিয়াত মেনেও নিচ্ছে। আজকের বিশ্বে নিজদেরকে যারা ঘোষণা দিয়ে পৃথিবীর সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী বলছে লালন ও পালনকারী সেজে আর বিশ্ববাসীর আনুগত্য ও বশ্যতা দাবি করছে। এরাই ফেরাউন ও নমরুদের উত্তরসূরি। ঈমানের স্বাদ যারা পেয়েছিলেন, যে মানুষগুলো আল্লাহ তা‘আলাকে রব বলে শুধু ঘোষণা দেননি বরং তাতে সন্তুষ্ট চিত্ত ছিলেন। তারা তাদের জীবন যাপনের ওপর উপকরণের জন্য দিনের পর দিন উপবাস থেকে একমাত্র মহান প্রভুর নিকট হাত পেতেছেন। শত্রুর হাতে বন্দী হয়েও ফাঁসির রজ্জু গলায় পরার মুহূর্তেও তাঁরা জীবন ভিক্ষা চাননি জালেমের কাছে। আল্লাহর ওপর ঈমানের কসম খেয়ে শির উঁচু করে ঘোষণা দিয়েছিলেন- “হায়াত আওর মাউত কি ফায়সালা জমিনে নয়।”</div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: red; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">দুই-</span></strong> দ্বিতীয় অংশে বলা হয়েছে: “ইসলামকে দীন তথা জীবন বিধান হিসেবে গ্রহণ করে তারা পরিতৃপ্ত ও সন্তুষ্ট”। তারা ইসলামকে আনুষ্ঠানিক একটি সাধারণ ধর্ম হিসেবে গ্রহণ করেনি বরং গ্রহণ করেছেন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা হিসেবে। ইসলাম প্রচলিত অর্থে কোনো ধর্ম নয়, বরং ইসলাম হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ বিস্তৃতি ও ভারসাম্যপূর্ণ একটি জীবন বিধান। মানুষের জীবন চলার বিধান সার্বভৌমত্ব, আনুগত্য ও উপাসনা ও বন্দেগির সকল পর্যায় এ শব্দের ব্যাপকতার মধ্যে নিহিত রয়েছে। আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন শুধু একটি- ইসলাম। তিনি জীবনের কোনও অংশে ইসলামী বিধান ছাড়া আর কোনও আচরণ বা পদ্ধতির সামান্য অংশও গ্রহণ করবেন না। “আল্লাহর নিকট ইসলামই হচ্ছে একমাত্র মকবুল দ্বীন।”</div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> দ্বীন হিসেবে ইসলাম এক ব্যাপক ও বিস্তৃত বিষয়ের নাম। তা মানবজীবনের সকল দিক বিভাগ ব্যক্তিগত, পারিবারিক সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক, তামুদ্দনিক এবং বৈশ্বিক সর্বত্র বিস্তৃত। পৃথিবীতে বসবাসের সূচনা হয়েছিল আবুল বাশার আদম আলাইহিস সালাম হতে। তাঁর ওপর আল্লাহ তা‘আলার বিধান নাজিল থেকে ইসলামের যে বিকাশ শুরু হয়েছিল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মাধ্যমে শান্তিময় জীবন যাপনের বিধিবিধান হিসেবে আল্লাহর আখেরি কিতাব চূড়ান্ত কুরআনে বলেছেন, “আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম। তোমাদের উপর আমার নে‘আমত পূর্ণ করে দিলাম আর একমাত্র ইসলামকে তোমাদের সকলের জন্য দ্বীন হিসেবে মনোনীত করে দিলাম।”</div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: red; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">তিন- </strong></span>ঈমানের মজা তারাই পেয়েছে যারা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নবী ও রাসূল হিসেবে পেয়ে পরিতৃপ্ত ও সন্তুষ্ট হয়েছেন। তার আনিত আদর্শকেই একমাত্র পরিপূর্ণ ও চূড়ান্ত হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর মাধ্যমে নবুওয়ত ও রিসালাতের ধারার পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছেন। সকল নবী রাসূলকে একটি নির্দিষ্ট জনবসতির জন্য পাঠানো হয়েছিল, নবুওয়তের ইতিহাসের একমাত্র ব্যতিক্রম মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি কোনো এলাকার বা আঞ্চলিক নবী নন, তিনি আলমি তথা বিশ্বনবী। তার নবুওয়তের কোনো চিহ্নিত সীমানা নেই ও নেই কোনো নির্দিষ্ট মেয়াদ। তিনি সমগ্র বিশ্বের জন্য আর অনাদিকালের জন্য রাসূল। কুরআন করীমে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,</div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">﴿قُلۡ يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ إِنِّي رَسُولُ ٱللَّهِ إِلَيۡكُمۡ جَمِيعًا ١٥٨﴾ [الاعراف: ١٥٧]</strong></div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: green; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">“বল হে মানবমণ্ডলী আমি তোমাদের সকলের জন্যে রাসূল হয়ে এসেছি।”</span><a href="http://www.quraneralo.com/the-true-taste-of-faith/#_ftn5" name="_ftnref5" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;">[5]</a></div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> কুরআন করীমে আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেছেন, –</div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">﴿ وَمَآ ءَاتَىٰكُمُ ٱلرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَىٰكُمۡ عَنۡهُ فَٱنتَهُواْۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَۖ إِنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلۡعِقَابِ ٧ ﴾ [الحشر: ٧]</strong></div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: green; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">“আখেরি রাসূল তোমাদের জন্যে যা এনেছেন বিনা শর্তে গ্রহণ কর, আর তা থেকে বিরত থেকে থাক যা তিনি নিষেধ করেছেন।”</span> <a href="http://www.quraneralo.com/the-true-taste-of-faith/#_ftn6" name="_ftnref6" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;">[6]</a></div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">                দ্বিতীয় হাদিস:</strong></div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: </strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">«ثَلَاثٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ وَجَدَ طَعْمَ الْإِيمَانِ: مَنْ كَانَ يُحِبُّ الْمَرْءَ لَا يُحِبُّهُ إِلَّا لِلَّهِ، وَمَنْ كَانَ اللهُ وَرَسُولُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا، وَمَنْ كَانَ أَنْ يُلْقَى فِي النَّارِ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ أَنْ يَرْجِعَ فِي الْكُفْرِ بَعْدَ إِذْ أَنْقَذَهُ اللهُ مِنْهُ»</strong></div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">“আনাস বিন মালেক রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তিনটি জিনিস যার মধ্যে পাওয়া যাবে, সে ঈমানের স্বাদ উপভোগ করতে পারবে। যে ব্যক্তি কোনো মানুষকে একমাত্র আল্লাহর জন্য ভালোবাসবে। যার নিকট আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল অন্য সব কিছু হতে অধিক প্রিয় এবং কুফরি থেকে মুক্তি দেয়ার পর পুণরায় কুফরিতে ফিরে যাওয়া যার নিকট আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়া অপেক্ষায় অধিক প্রিয়”</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">।</strong><a href="http://www.quraneralo.com/the-true-taste-of-faith/#_ftn7" name="_ftnref7" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;"><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">[7]</strong></a></div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> চার. ঈমানের স্বাদ সে ব্যক্তি ভোগ করবে, যে কোনো মানুষকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসে এবং আল্লাহর জন্য অপছন্দ করে। একজন মানুষের সাথে অপর মানুষের মহব্বত ও ভালোবাসা হবে ঈমানের ভিত্তিতে। এক মুমিন অপর মুমিনকে ভালো বাসা ও মহব্বত করাও ঈমান। আল্লাহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,</div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">« إِنَّ أَوْثَقَ  عُرَى الْإِيمَانِ  أَنْ تُحِبَّ فِي اللهِ، وَتُبْغِضَ فِي اللهِ</strong> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">»</strong></div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #ff6600; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">“ঈমানের দৃঢ় বন্ধন হল, আল্লাহর জন্য ভালোবাসা এবং আল্লাহর জন্য দুশমনি করা”।</span><a href="http://www.quraneralo.com/the-true-taste-of-faith/#_ftn8" name="_ftnref8" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;">[8]</a></div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> অপর একটি হাদিসে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,</div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">« إِنَّ أَحَبَّ الْأَعْمَالِ إِلَى اللهِ الْحُبُّ فِي اللهِ، وَالْبُغْضُ فِي اللهِ</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"> »</strong></div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #ff6600; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">“নিশ্চয় আল্লাহর নিকট উত্তম আমল হল, আল্লাহর জন্য ভালোবাসা এবং আল্লাহর জন্য দুশমনি করা”।</span><a href="http://www.quraneralo.com/the-true-taste-of-faith/#_ftn9" name="_ftnref9" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;">[9]</a></div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> অপর একটি হাদিসে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,</div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">«</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">مَنْ أَعْطَى لِلَّهِ، وَمَنَعَ لِلَّهِ، وَأَحَبَّ لِلَّهِ</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">، </strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">وَأَبْغَضَ</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"> لِلَّهِ، وَأَنْكَحَ لِلَّهِ، فَقَدْ اسْتَكْمَلَ إِيمَانَهُ»</strong></div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #ff6600; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">“যে আল্লাহর জন্য দান করে, আল্লাহর বারণ করে, আল্লাহর জন্য মহব্বত করে, আল্লাহর জন্য দুশমনি করে, আল্লাহর জন্য বিবাহ শাদী দেয়, তার ঈমান পরিপূর্ণ হয়ে যায়”।</span><a href="http://www.quraneralo.com/the-true-taste-of-faith/#_ftn10" name="_ftnref10" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;">[10]</a></div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> পাঁচ. হাদিস দ্বারা স্পষ্ট হল, একজন মুমিনের বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা হবে আল্লাহর জন্য। ঈমানের ভিত্তিতে ভালোবাসাই হল প্রকৃত ভালোবাসা। যে ভালোবাসা ও মহব্বত ঈমানের ভিত্তিতে হয়, সেই ভালোবাসা, বন্ধুত্ব ও মহব্বত কিয়ামতের কাজে আসবে। এ ছাড়া পার্থিব ও জাগতিক স্বার্থে যে সব বন্ধুত্ব বা মহব্বত হয়ে থাকে, তা আখিরাতে কোনো কাজে আসবে না। আল্লাহ তা‘আলা কুরআন করীমে বলেছেন,</div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">﴿ ٱلۡأَخِلَّآءُ يَوۡمَئِذِۢ بَعۡضُهُمۡ لِبَعۡضٍ عَدُوٌّ إِلَّا ٱلۡمُتَّقِينَ ٦٧ ﴾ [الزخرف: ٦٧]</strong></div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: green; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">“সেদিন বন্ধুরা একে অন্যের শত্রু হবে, মুত্তাকীরা ছাড়া”।</span><a href="http://www.quraneralo.com/the-true-taste-of-faith/#_ftn11" name="_ftnref11" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;">[11]</a></div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলকে দুনিয়ার সব কিছু হতে অধিক ভালোবাসা। এমনকি আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলকে নিজের স্ত্রী, সন্তান, পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, ধন-সম্পদ এবং সমস্ত মানুষের চেয়ে অধিক ভালোবাসা। যার মধ্যে এ ধরনের ভালোবাসা পাওয়া যাবে সেই প্রকৃত ঈমানদার এবং সে ঈমানের সত্যিকার স্বাদ উপভোগ করতে পারবে। আনাস রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,</div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: </strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">«لَا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ وَالِدِهِ، وَوَلَدِهِ، وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ»</strong></div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> আনাস ইবন মালেক রা. হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, <span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #ff6600; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">“তোমরা কেউ পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তোমাদের নিকট তোমাদের তোমাদের মাতা-পিতা, সন্তান-সন্ততি ও সমস্ত মানুষ থেকে অধিক প্রিয় না হব”।</span><a href="http://www.quraneralo.com/the-true-taste-of-faith/#_ftn12" name="_ftnref12" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;">[12]</a> ওমর রা. বলেন,</div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">وَاللهِ لَأَنْتَ يَا رَسُولَ اللهِ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ إِلَّا نَفْسِي، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: </strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">«لَا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ  إِلَيْهِ مِنْ نَفْسِهِ</strong> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">»</strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;"> فَقَالَ عُمَرُ: فَلَأَنْتَ الْآنَ وَاللهِ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ نَفْسِي، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: </strong><strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">«الْآنَ يَا عُمَرُ</strong> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">»</strong></div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> “আল্লাহর শপথ করে বলছি, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমার নিকট দুনিয়ার সব কিছু হতে অধিক প্রিয় তবে আমার জীবন থেকে নয়। তার কথা শোনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের কেউ পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তার কাছে তার জীবন থেকেও অধিক প্রিয় না হব। এ কথা শোনে ওমর রা. বললেন, আল্লাহর শপথ আপনি এখন আমার নিকট আমার জীবনের চেয়েও অধিক প্রিয়। তারপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে ওমর তুমি এখন পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারলে”।<a href="http://www.quraneralo.com/the-true-taste-of-faith/#_ftn13" name="_ftnref13" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;">[13]</a></div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> একজন মানুষ যখন বিশ্বাস করবে, আল্লাহই তার রব ও প্রতিপালক, রিজিক দাতা এবং উপকার ও ক্ষতির মালিক, জীবন ও মৃত্যুর তারই হাতে এবং তিনিই যাবতীয় সব কর্মের বিধায়ক, তখন সে আল্লাহকে অন্তর দিয়ে ভালবাসবে, তার কথা শুনবে ও তার আদেশ নিষেধ মানবে, তার আনুগত্য করবে।</div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> আর যখন সে এও বুঝতে পারবে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে উম্মতের প্রতি প্রেরিত একজন রাসূল। তার মাধ্যমেই আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে গোমরাহি থেকে হেফাজত করেন এবং সঠিক পথ দেখান। হক ও বাতিলের সঠিক সংজ্ঞা তার মাধ্যমেই আমরা জানতে পারি। তিনিই মানুষ আল্লাহর ইবাদতের দিক আহ্বান করেন। তিনি মানুষকে কুফর থেকে বের করে ইসলামের দিকে নিয়ে আসেন, তখন তারা অবশ্যই আল্লাহর রাসূলকে অন্তর দিয়ে ভালো বাসবেন। আর যখন বান্দা আল্লাহকে ভালোবাসবে তখন আল্লাহর ইবাদত করাকেও ভালো বাসবে। সালাত, সাওম, যাকাত, জিকির, দুআ, কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি তার কাছে ভালো লাগবে এবং সবকিছুতে সে খুব মজা পাবে। একেই বলা হয় ইমানের স্বাদ বা মজা।</div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> আল্লাহর নবীর মহব্বতের আলামত হল, নবীর প্রতি ঈমান আনা, নবীর অনুকরণ করা, তার আদর্শ অনুযায়ী জীবন যাপন করা এবং তার নির্দেশ মেনে চলা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,</div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <strong style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">﴿ لَّقَدۡ كَانَ لَكُمۡ فِي رَسُولِ ٱللَّهِ أُسۡوَةٌ حَسَنَةٞ ٢١ ﴾ [الاحزاب : ٢١]</strong></div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <span style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: green; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;">“তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ”।</span><a href="http://www.quraneralo.com/the-true-taste-of-faith/#_ftn14" name="_ftnref14" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;">[14]</a> একজন ব্যক্তি যখন নবীকে মহব্বত করবে, তখন সে অবশ্যই তার অবাধ্য হওয়া ও তার সুন্নাত থেকে বের হওয়াকে অপছন্দ করবে। এটিই হল, আল্লাহর রাসূলের মহব্বতের বাস্তবতা।</div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> ছয়- ঈমানের পর কুফরে প্রত্যাবর্তন করাকে এমন অপছন্দ করে যেমন জ্বলন্ত আগুনে নিক্ষেপ করাকে অপছন্দ করে। আল্লাহ তা‘আলা তাকে কুফর থেকে মুক্তি দিয়েছেন এবং ঈমানের মত মহা মূল্যবান দৌলত দিয়েছেন। আল্লাহর অনুগ্রহে ঈমান লাভ করার পর আল্লাহর আনুগত্যটাকে মেনে নিয়েছেন এবং ঈমানের উপর অটুট অবিচল রয়েছেন। সুতরাং এখন লোকটি ঈমানের পর কুফরিকে ঘৃণা করে, হেদায়েত লাভের পর গোমরাহিকে অপছন্দ করে, দীনের উপর অবিচল থাকাকে পছন্দ করে এবং দীন থেকে ফিরে যাওয়াকে অপছন্দ করে। জ্ঞান লাভের পর অজ্ঞতায় ফিরে যাওয়াকে ঘৃণা করে। মোট কথা, আল্লাহ তা‘আলা যা কিছু অপছন্দ করেন, তার সব কিছুই তার নিকট অপছন্দ। তাকে যতই কষ্ট দেয়া হোক না কেন, সে আল্লাহর হুকুমের অবাধ্যে কোনো কিছুই করবে না। যদিও তাকে আগুনে নিক্ষেপ করা হয়, ফাঁশি কাস্টে ঝুলানো হয় এবং জেল খানায় নেয়া হয়। এমনকি যদি তাকে বলা হয়, তুমি কুফরি কর, অন্যথায় তোমাকে জালিয়ে দেয়া হবে, তারপরও সে কুফরি করবে না। বরং সে কষ্টের উপর ধৈর্য ধারণ করবে। কুফরি করা এমন অপছন্দ করবে যেমনটি আগুনে পুড়ে মারা যাওয়াকে অপছন্দ করবে।</div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> অনুরূপভাবে গুনাহকে সে অপছন্দ ও ঘৃণা করবে। কারণ, সে জানে তার প্রভূ অন্যায়কে হারাম করেছেন এবং অন্যায়কারীকে তিনি পছন্দ করেন না। তিনি এ বলে ঘোষণা দেন, আমার রব যা নিষেধ করেছেন তা আমি ঘৃণা করি, আমি নিষিদ্ধ বস্তুর কাছেও যাব না। যদিও তাতে দুনিয়াবি কিছু লাভ হয়ে থাকে। ফলে লোকটি অহংকার, ব্যভিচার, অশ্লীল কর্ম, মদ্যপান, গান-বাজনা, নগ্ন সিনেমা দেখা, ইত্যাদিকে ঘৃণা করে। পর্দাহীন বেগানা নারীদের দিকে তাকানো থেকে বিরত থাকে। নারীরাও বেপর্দা হওয়াকে ঘৃণা করে। মোটকথা, আল্লাহ তা‘আলা যা অপছন্দ করে, মানুষও তা অপছন্দ করে। এটিই হল, ঈমানের প্রতি ভালোবাসা ও মহব্বতের আলামত। যাদের মধ্যে ঈমানের প্রতি ভালোবাসা ও মহব্বত পাওয়া যাবে, তারাই ঈমানের প্রকৃত স্বাদ গ্রহণ করবে।</div> <div style="background-color: white; border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #333333; font-family: 'Droid Sans', 'Noto Sans Bengali', SolaimanLipi, Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 14.5px; line-height: 22px; list-style: none; margin-bottom: 20px; outline: none; padding: 0px;"> <a href="http://www.quraneralo.com/the-true-taste-of-faith/#_ftnref1" name="_ftn1" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;">[1]</a> সূরা ইব্রাহীম, আয়াত: ২৪,২৫<br style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;" /><a href="http://www.quraneralo.com/the-true-taste-of-faith/#_ftnref2" name="_ftn2" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;">[2]</a>  সূরা আল-বুরূজ, আয়াত: ১-৪<br style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;" /><a href="http://www.quraneralo.com/the-true-taste-of-faith/#_ftnref3" name="_ftn3" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;">[3]</a> বুখারি, হাদিস: ৩৬১২, ৬৯৪৩; নাসায়ী, হাদিস: ২০৪/৮; ইবনু হিব্বান, হাদিস: ৬৬৯৮; তাবরানী, হাদিস: ৩৬৩৮<br style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;" /><a href="http://www.quraneralo.com/the-true-taste-of-faith/#_ftnref4" name="_ftn4" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;">[4]</a> মুসলিম, হাদিস: ৩৪; তিরমিযি, হাদিস: ২৬২৩<br style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;" /><a href="http://www.quraneralo.com/the-true-taste-of-faith/#_ftnref5" name="_ftn5" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;">[5]</a> সূরা আরাফ, আয়াত: ১৫৮<br style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;" /><a href="http://www.quraneralo.com/the-true-taste-of-faith/#_ftnref6" name="_ftn6" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;">[6]</a> সূরা হাশর, আয়াত: ৭<br style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;" /><a href="http://www.quraneralo.com/the-true-taste-of-faith/#_ftnref7" name="_ftn7" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;">[7]</a> মুসলিম, হাদিস: ৪৩, ৬৮; বুখারি, হাদিস: ২১, ৬০৪১; ইবনু মাযা, হাদিস: ৪০৩৩; নাসায়ী, হাদিস: ৯৬/৮<br style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;" /><a href="http://www.quraneralo.com/the-true-taste-of-faith/#_ftnref8" name="_ftn8" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;">[8]</a> জারির ইবন আব্দুল হামিদ এর সনদে ইমাম বাইহাকী শুয়াবুল ঈমানে হাদিসটি বর্ণনা করেন। হাদিস নং ১৪<br style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;" /><a href="http://www.quraneralo.com/the-true-taste-of-faith/#_ftnref9" name="_ftn9" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;">[9]</a> আবু দাউদ, হাদিস: ৪৫৯৯<br style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;" /><a href="http://www.quraneralo.com/the-true-taste-of-faith/#_ftnref10" name="_ftn10" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;">[10]</a>  তিরমিযি, হাদিস: ২৫২১ আল্লামা আলবানী হাদিসটি হাসান বলেছেন।<br style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;" /><a href="http://www.quraneralo.com/the-true-taste-of-faith/#_ftnref11" name="_ftn11" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;">[11]</a>  সূরা আয-যুখরুফ, আয়াত: ৬৭<br style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;" /><a href="http://www.quraneralo.com/the-true-taste-of-faith/#_ftnref12" name="_ftn12" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;">[12]</a>  বুখারি, হাদিস: ১৫; মুসলিম, হাদিস: ৪৪; নাসায়ী, হাদিস: ১১৫/৮<br style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;" /><a href="http://www.quraneralo.com/the-true-taste-of-faith/#_ftnref13" name="_ftn13" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;">[13]</a>  বুখারি, হাদিস: ৩৬৯৪, ৬২৬৪, ৬৬৩২<br style="border: 0px none; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px;" /><a href="http://www.quraneralo.com/the-true-taste-of-faith/#_ftnref14" name="_ftn14" style="border: 0px none; box-sizing: border-box; color: #45a4d3; list-style: none; margin: 0px; outline: none; padding: 0px; text-decoration: none; transition: all 0.2s ease-in-out;">[14]</a> সূরা আহযাব, আয়াত: ২১</div> </div>

ঈমানের প্রকৃত স্বাদ

প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে- লেখক : জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের |  সম্পাদনা :  ড. আবু ব...

আরও পড়ুন »